নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন মেয়র প্রার্থীরা। তারা পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক করে জনগনের কাছ থেকে সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। এছাড়া দলীয় মনোনয়নের জন্য যে যার মতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য মাঠে নেমেছেন একাধিক প্রার্থী। তারা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব আইনজীবি পরিষদের সভাপতি ও ২০১৫ সালে নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট ফজলে রাব্বি, ঢাকা কলেজের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক ছগীর আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপ কমিটির সহ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা।
জানাগেছে, চলতি বছরের প্রথম দিক থেকে পৌরসভা নির্বাচনের জন্য মাঠে সরব রয়েছেন ছগীর আহম্মেদ ও নাসরিন সুলতানা ঝরা। তারা বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের বিশেষ দিনগুলিতে পোষ্টার ফেস্টুন টানিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পৌরবাসীর সালাম ও মেয়র নির্বাচনের জন্য সর্বস্তরের নাগরিকদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে আসছেন। তারা তাদের সমর্থিত নেতাকর্মী নিয়ে বছর জুড়ে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক করেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী উঠান বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ছগীর আহম্মেদ। তিনি বছর জুড়েই সরব ছিলেন। বর্তমান মেয়র সাদেক ভুুইয়া তার এলাকার মুরুবী ও আত্মীয় হলেও তার এলাকাবাসী বয়সের কারণে সাদেক ভুইয়াকে চাচ্ছেন এবার পৌর নির্বাচনে। সেজন্য মেয়র হিসেবে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ছগীর আহম্মেদকে মাঠে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন বলে জানান গোয়ালদী বাসী। তবে ছগীর ও ঝরা দুুজনই পৌরবাসীর সেবা করার জন্য মাঠে কাজ করছেন এবং দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে তারা নৌকা প্রতিক নিয়ে জয়লাভ করে পৌরবাসীর আশা আকাঙ্খা পূরণে কাজ করবেন।
অপরদিকে, ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সাদেক ভুইয়ার সাথে পরাজিত হন গাজী মুজিবুর রহমান। এরপর ২০১৫ সালেন পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ করলে মনোনয়ন দৌড়ে পরাজিত হয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। কিন্তু পৌর নির্বাচনের দিন যতই ক্ষনিয়ে আসছে তিনি ততই পৌর নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য মাঠে নামেছেন। বিশেষ করে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোশারফ হোসেনকে জয়লাভ করার পেছনে পৌরসভায় গাজী মজিবুর রহমানের বিশেষ অবদান ছিল। সে নির্বাচনের পর থেকে গাজীকে ফের ফোর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য মোগরাপাড়া এলাকার আওয়ামীলীগের একাংশের নেতারা কাজ করছে। সেজন্য তিনিও পৌরবাসীর মন জোগাতে উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে, এডভোকেট ফজলে রাব্বি গত ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পেয়ে চমক সৃষ্টি করেন।
কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে সেই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান ভুইয়ার কাছে। এরপরও তিনি ফের পৌর মেয়র হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা ও জয়লাভ করে পৌরবাসীর উন্নয়ন ও সেবার জন্য উঠান বৈঠকসহ নির্বাাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। এবারও তিনি আশাবাদি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পাবেন।
এদিকে, বর্তমান মেয়র সাদেকুর রহমান বয়সের ভারে ও অসুস্থতার কারণে বেশী সময় দিতে পারেনি পৌরবাসীকে। মাসের বেশীর ভাগ সময়ই তিনি থাকতেন ঢাকায়। সেজন্য পৌর উন্নয়ন ও পৌর নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে পৌরবাসী। এছাড়া বয়সের কারণে গত নির্বাচনে জয়লাভের পর এবার নির্বাচন না করার ঘোষনা দিয়ে ছিলেন। সে জন্য পৌর সভার নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার কোন প্রচারনা তার মধ্যে দেখা যায়নি। তবে তিনি জানিয়েছেন দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক পেলে তিনি এবারও পৌর নির্বাচনে অংশ নিবেন।